শীত আসলে স্কিনের জন্য মশ্বারাইজার, লোশন, ক্রিম ব্যবহার এবং বিভিন্ন ভাবে এক্সট্রা কেয়ার আমরা নিয়ে থাকি। কিন্তু, ভেবে দেখেছেন কি, চুলের কি প্রয়োজন এক্সট্রা কেয়ারের?
অবশ্যই আছে!
বরং, সারা বছরের তুলনায় শীতের সিজনে চুলের যত্ন অধিক নিতে হয়। কেনো না, এই সময় চুলের চুল এবং স্ক্যাল্প খুবই রুক্ষ-প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ফলে শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং খুশকির মতো সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
শীতে চুলের যত্ন সঠিক ভাবে না নিলে, চুল পড়া বেড়ে যায়, চুলের গোড়া নরম হয়ে পড়ে এবং ফলিকল নষ্ট হয়ে নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও, আরো কিছু বিষয় শেয়ার করচ্ছি যা আমাদের শীত কালে মেনে চলে উচিত।
১) শীতে গরম পানি দিয়ে গোছল করার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু, অতিরিক্ত গরম পানি আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, অধিক গরম পানি চুলের গোড়া থেকে প্রয়োজনীয় তেল শুষে নেয়। ফলে চুলে পুষ্টীহীনতা দেখা দেয়।
২) শীতকালে শ্যাম্পু করে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানোটাও হতে পারে চুল পড়ার সমস্যার কারণ। এতে করে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে চুল প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
৩) ভিজা চুল নিয়ে বাড়ির বাহিরে যাওয়াও ডেকে আনতে পারে বিশাল বিপদ। ভিজা চুলে ঠান্ডা হাওয়া লাগলে চুল শুকাতে চায় না। বরং, চুলের গোঁড়ায় ধুলো বালি জমায়। এতে খুশকি দেখা দেয়। আবার, কারো কার ফাংগালও হয়ে যায়।
শীতের সিজনে চুলকে অবহেলা করা যাবে না। কেনোনা,চুলে একবার সমস্যা দেখা দিলে এই সমস্যা থেকে কাঠিয়র উঠা বিশাল বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। শীতে সিজনেও সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলে শ্যাম্পু করতে হবে। সপ্তাহে ৩ দিন হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে হবে এবং ১ দিন হেয়ার প্যাক। এতে করে চুল নিয়মিত পুষ্টী পাবে।